গর্ভবতী মায়েদের অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন যে এই অবস্থায় রোজা রাখতে পারবেন কি না এবং রোজা রাখার ফলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর ওপর কী প্রভাব পড়বে। এখন গ্রীষ্মকাল এবং প্রায় ১৪ ঘণ্টা আহার ও পানীয় ছাড়া থাকতে হচ্ছে। তাই এই সময়ে গর্ভবতীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ও শেষ তিন মাস বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
যেসব ক্ষেত্রে রোজা পরিহার করা ভালো

♦ গর্ভবতী যদি অতিরিক্ত বমি করেন বা বমি বমি ভাবের কারণে খেতে না পেরে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন।

♦ গর্ভবতী যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো জটিলতায় ভোগেন।

♦ গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যায় বা পানি শুকিয়ে যায়।

♦ বাচ্চার ওজন কম থাকে।

 

রোজা রাখতে চাইলে যা করবেন

♦ রোজার আগেই গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা

♦ ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা

♦ পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফ্রেশ জুস, দই, চিড়া এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা

♦ প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করা

করণীয়

সাহরির সময় বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা যাবে। রোজা রাখলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ইফতার শুরুর আগে খেতে পারেন ফল বা জুস।

যিনি রোজা রেখে কোনো সমস্যা অনুভব করছেন না বা অন্য কোনো জটিলতায় ভুগছেন না তিনি রোজা রাখতে পারবেন, অন্যথায় পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করে নেবেন। গর্ভাবস্থার ওপর ভিত্তি করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে অনাগত শিশু অপুষ্টির শিকার হতে পারে। মা ভুগতে পারেন মূত্রথলির ইনফেকশনে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মোছা. ফারহানা তারান্নুম খান

সহকারী অধ্যাপক, গাইনিকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা